ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ প্রকল্প সম্পর্কিত খুঁটিনাটি তথ্য
বিসিএস সহ আরও কিছু চাকরীর জন্য দেশের উন্নয়ন সম্পর্কিত সকল খুঁটিনাটি তথ্য জেনে রাখা ভালো। ২০২২ সালে উদ্বোধন করা হয়েছে ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে।
এক্সপ্রেসওয়েটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের আবদুল্লাহপুর, আশুলিয়া, বাইপাইল এবং ঢাকা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলের সঙ্গে সংযুক্ত হবে। এটি ঢাকার যাত্রাবাড়ী থানার কুতুবখালী পর্যন্ত সংযুক্ত হবে। ৩০টি জেলার চার কোটিরও বেশি মানুষ এই এক্সপ্রেসওয়ে থেকে উপকৃত হবে।
ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে সম্পর্কিত খুঁটিনাটি তথ্য
উন্নয়ন সহযোগীঃ চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত চীনা এক্সিম ব্যাংক
ঠিকাদারঃ চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি ইমপোর্ট এন্ড এক্সপোর্ট কর্পোরেশন (সিএমসি)
দৈর্ঘ্যঃ ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের দৈর্ঘ্য ২৪ কিলোমিটার; র্যাম্প -১০.৮ কিলোমিটার; সেতু -২.৭২ কিলোমিটার
নির্মাণ কাজ উদ্বোধনঃ ১২ নভেম্বর, ২০২২
সম্ভাব্য উদ্বোধনঃ জুন, ২০২৬
সম্ভাব্য ব্যয়ঃ ১৭ হাজার ৫৫৩ কোটি ৪ লাখ টাকা
অনুমোদনঃ ২৪ অক্টোবর, ২০১৭
অবস্থানঃ সাভার ইপিজেড থেকে বিমানবন্দর
মালিকানাঃ বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ।
ঢাকার যানজট নিরসন
দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের প্রায় ২০টি এবং দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের প্রায় ৫/৬ টি জেলার মানুষ আশুলিয়া-নবীনগর- বাইপাইল হয়ে সহজে এবং দ্রুততার সাথে ঢাকায় প্রবেশ করতে পারবে। ঢাকা শহরের উত্তরাঞ্চল তথা সাভার, আশুলিয়া, নবীনগর ও ইপিজেড সংলগ্ন শিল্প এলাকার যানজট নিরসন এবং যোগাযোগ ব্যবস্থার দ্রুত উন্নয়নের লক্ষ্যে ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে বিশেষ ভূমিকা রাখবে।
সাভার ইপিজেডের পণ্য পরিবহন সুবিধা
ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পটি নির্মানাধীন ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে এর সাথে সংযুক্ত হবে। ফলে সাভার ইপিজেড সংলগ্ন শিল্পাঞ্চল, ঢাকা-চট্টগ্রাম হাইওয়ের সাথে সরাসরি যুক্ত হবে। এতে রপ্তানিযোগ্য পণ্য পরিবহণ উল্লেখযোগ্য পরিমাণ দ্রুততর হবে।
কর্মসংস্থান বৃদ্ধি
উন্নত ও দ্রুততর যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে সাভার শিল্পাঞ্চলে নতুন নতুন বিনিয়োগ আকৃষ্ট হবে ফলে প্রচুর নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। প্রায় ৩০টি জেলার আনুমানিক ৪ কোটি মানুষ এই প্রকল্প বাস্তবায়নে লাভবান হবে।
জিডিপিতে প্রভাব
উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা মোতাবেক এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে ফাইন্যান্সিয়াল আইআরআর এবং ইকোনমিক আইআরআর এর পরিমাণ হবে যথাক্রমে ১৩.০৫% ও ১৩.১০%। ফাইনান্সিয়াল ও ইকোনমিক বেনিফিট কস্ট রেশিও বিসিআর এর পরিমাণ দাঁড়াবে যথাক্রমে ১.০৬ এবং ১.১৩। ঢাকা- আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পটি নির্মিত হলে জিডিপিতে ০.২১৭% প্রভাব ফেলবে।
আরও পড়ুন- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য